মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করবেন, কিন্তু মাঠ কোথায়? সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উঠতি ছেলেমেয়েদের প্রধান সমস্যাই এটা। যে কারণে অতিমাত্রায় প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে ঘরকুনো হয়ে পরছেন ছেলেমেয়েরা। আর এ সমস্যা সমাধানে দারুণ উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এলাকার সাধারণ ছেলেমেয়েদের জন্য মাঠ কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
অবশ্য সিদ্ধান্তটা অনেক দিন থেকেই বিবেচনা করছে বিসিবি। এর আগের বোর্ড সভাতেও বিষয়টি উঠে এসেছিল। তবে এবার বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভাতে (এজিএম) বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আরও অনেক মাঠ চাই বিসিবির। যে কারণে খুব শীগগিরই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠ কেনার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
প্রায় চার বছর পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো বিসিবির এজিএম। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে সারা দেশ থেকে প্রায় ১২০ জনের অধিক কাউন্সিলর অংশ নেন এবারের এজিএমে। সেখানেই নানা এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার মধ্যে মাঠ কেনার প্রসঙ্গটিও বেশি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন কাউন্সিলররা।
এজিএম শেষে সংবাদসম্মেলনে মাঠ কেনার বিষয়টি তুলে ধরেন পাপন, আমরা বেশ কিছু ক্রিকেট মাঠ কিনতে চাই। যেখানেই পাবো, ক্রিকেট মাঠ কিনব। স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ আর পরিচর্যা ব্যয়বহুল। এজন্য আমরা ক্রিকেট মাঠ কিনতে চাই। যেখানে ক্রিকেটটা নিয়মিত চলবে।
নতুন করে ক্রিকেট মাঠ কিনতে চাইলেও দেশের বেশ কিছু স্টেডিয়াম অকার্যকর হয়ে পড়ে রয়েছে। বিশেষকরে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের অবস্থা যাচ্ছেতাই। এছাড়া বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামেরও প্রায় একই অবস্থা। তবে স্টেডিয়াম বিসিবির মূল সমস্যা নয় বলে জানান পাপন। মূলত সাধারণ ছেলেমেয়েদের খেলার জন্য মাঠ কিনতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, আমাদের মূল সমস্যা স্টেডিয়াম না, খেলার মাঠ। যেখানে সাধারণ ছেলেমেয়েরা খেতে পারবে। ধরেন একটা মাঠ রয়েছে কিন্তু পিচ নাই, তাহলে কি ক্রিকেট খেলতে পারবে? আর স্টেডিয়াম হলেই তো হয় না। কারণ তাহলে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা চাচ্ছি খেলার মাঠ যেখানে এলাকার তরুণ ছেলেমেয়েরা খেলতে পারবে। এটাই আমরা চাচ্ছি। এছাড়া লিগ খেলাতেও মাঠ আমাদের বিরাট সংকট। সেটাও সমাধানের চেষ্টা করছি।
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট ঠিকভাবে চালানোর জন্যও মাঠ প্রয়োজন বলে জানান বিসিবি সভাপতি, ‘আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যুগুলোতে ইচ্ছা করলেই খুব বেশি ম্যাচের আয়োজনের সুযোগ নাই। কিন্তু তারপরও আমরা করছি। বগুড়া স্টেডিয়ামে হয়তো সেভাবে হয়নি। তবে আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখানেও এবার হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে।