ঘুরে যাওয়ায় কাছের পথ হয়ে গেল দূরের। তবে ভ্রমণ ক্লান্তি খুব একটা গায়ে মাখছেন না বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা। মালদ্বীপে পৌঁছে শুরু করেছেন অনুশীলন।
এএফসি কাপে খেলতে দ্বীপ দেশটিতে গেছে বসুন্ধরা কিংস। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় দলের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় প্রথম দিনের অনুশীলনও সেরে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মালে যাওয়ার পর দলের তারকা ফরোয়ার্ড তপু বর্মন জানালেন, টুর্নামেন্টে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন তারা।
“অনেক সকালে আমরা রওনা হয়েছি। বাংলাদেশ থেকে দোহা হয়ে মালে এসেছি। এটা খুব লম্বা ভ্রমণ ছিল, তবে আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। সবমিলিয়ে ভ্রমণটা ভালোই ছিল। আজকে আমাদের মিটিং ছিল এএফসি রুলস নিয়ে। তারপর আমরা অনুশীলনে যোগ দিয়েছি।”
“আমরা যে হোটেলে উঠেছি আমার কাছে মনে হয়েছে সেটা অনেক ভালো। এখানে জিম, সুইমিং পুল, সব ফ্যাসিলিটিজ আছে। একটা পেশাদার দলের জন্য এই ফ্যাসিলিটিজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা আমরা এখানে এসে পেয়েছি। এটার জন্য আমি খুশি এবং সব খেলোয়াড়রা অনেক রোমাঞ্চিত।”
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) বৃহস্পতিবার দেওয়া সূচি অনুযায়ী, ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী ১৮ অগাস্ট মাজিয়ার মুখোমুখি হবে কিংস। ২১ অগাস্ট দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ প্লে-অফে ভারতের বেঙ্গালুরু এফসি ও মালদ্বীপের ঈগলসের মধ্যে বিজয়ী দল।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৪ অগাস্ট কিংস মুখোমুখি হবে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল মোহনবাগানের। সবগুলো ম্যাচই হবে মালদ্বীপের রাজধানী মালের রামশি ধান্দু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
গত মে মাসে খেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর এএফসি কাপের জন্য ৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই সূচি নির্ধারণ করেছিল এএফসি। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলবে বলে এএফসির কাছে খেলা পেছানোর আবেদন করেছিল কিংস। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে অগাস্টে এএফসি কাপ আয়োজনের নতুন সিদ্ধান্ত নেয় এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
কোচ অস্কার ব্রুসন সন্তুষ্ট মালেতে পাওয়া সুযোগ সুবিধা নিয়ে। সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এএফসি কাপে ভালো করার দিকে চোখ তার।
“কিছুটা লম্বা ভ্রমণ ছিল। তবে সবকিছু চমৎকারভাবে যাচ্ছে, বিশেষ করে বিপিএলে শেষ সপ্তাহের পর। আমি মনে করি, বৃষ্টির মৌসুমের সময়টা আমরা মসৃণভাবে শেষ করেছি…আমরা ফুরফুরে মেজাজে আছি। আমরা কিছুটা ক্লান্ত হয়ে এখানে এসেছি। তবে আজ থেকে অনুশীলনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত হব। এখানকার মানুষ ভীষণ অতিথিপরায়ন।”
“হোটেলে সব ধরনের ফ্যাসিলিটিজ দেয়া হচ্ছে। খাবারও ভালো। সবগুলো রুম খেলোয়াড়দের জন্য আরামদায়ক। আমরা সুইমিং পুলে সময় কাটিয়েছি। এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা চমৎকার। এখন সময় প্রথম ম্যাচ থেকে ইতিবাচক ফলাফল উপহার দেওয়া।