ক্রিকেটে এতদিন ধরে ছেলেদের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত ব্যাটার শব্দ। তবে সেই নিয়মে পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। নারী-পুরুষভেদে সবার ক্ষেত্রেই এখন ‘ব্যাটার’ শব্দটি ব্যবহৃত হবে।
মূলত লিঙ্গবৈষম্য প্রতিরোধ করতেই এই নিয়ম চালু করেছে এমসিসি। এই পরিবর্তনটিকে ক্রিকেটের বৈশ্বিক দায়িত্বের একটি বলেই মনে করে ক্রিকেটের নিয়ম প্রণয়নকারী এই সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে এমসিসির ক্রিকেট ও অপারেশন্স বিষয়ক সহকারী সচিব জেমি কক্স জানান, খেলাটির প্রতি এমসিসির বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের অপরিহার্য অংশ হিসেবেই এই সংশোধনী। এমসিসি বিশ্বাস করে ক্রিকেট খেলাটি সবার জন্যই এবং আধুনিক যুগে খেলাটির বদলে যাওয়া চিত্রকেই তুলে ধরছে এই পদক্ষেপ।
কক্স আরও জানান, এটাই উপযুক্ত সময় এই সিদ্ধান্তটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানোর। আজ এটার ঘোষণা দিতে পেরেও আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত।
অবশ্য এর আগে ২০১৭ সালেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। কিন্তু সেসময় আইসিসি ও নারী ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েদের ক্রিকেটেও একবচনের ক্ষেত্রে ‘ব্যাটসম্যান’ ও বহুবচনের ক্ষেত্রে ‘ব্যাটসমেন’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এবারের আলোচনাতে নতুন সিদ্ধান্তের দিকে গেছে এমসিসি।
ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থাটি মনে করে, ছেলে ও মেয়ে- দুই ক্রিকেটেই ‘ব্যাটার’ ব্যবহার লিঙ্গনিরপেক্ষ অবস্থানে আরও মজবুত ভিত দেবে। ক্রিকেটে বিশ্বে নারী ক্রিকেট জনপ্রিয়তা লাভ করছে বেশ দ্রুতই। ২০১৭ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড ও ভারতের মেয়েদের মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিল গ্যালারিভর্তি দর্শক। গত বছর অস্ট্রেলিয়া-ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে মেলবোর্নে উপস্থিত ছিল রেকর্ড পরিমাণ দর্শক।
আবার এবছর ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেড এর মেয়েদের ফাইনালে লর্ডসে উপস্থিত ছিল ১৭১১৬ জন দর্শক, যা মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেটের রেকর্ড। দিনদিন মেয়েদের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা যায়।