১৯৪ রানে নেই ৭ উইকেট। ভারতের লিড তখন হয়েছে মাত্র ১৬৭ রানের। এরপর ইশান্ত শর্মাও সাজঘরের পথ ধরলে ১৮২ রান এগিয়ে থেকে হাতে মাত্র ২ উইকেট ছিল সফরকারিদের। লর্ডস টেস্টে হারের শঙ্কাই ভর করেছিল ভারতের ওপর।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে যে আর কেউই ছিলেন না। কিন্তু মোহাম্মদ শামি আর জাসপ্রিত বুমরাহ পুরো হিসেব দিলেন পাল্টে। নিজেরাই বনে গেলেন একদম ‘বিশেষজ্ঞ’ ব্যাটসম্যান।
২০ ওভারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভারতের এই দুই লোয়ার অর্ডার যোগ করেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ৮৯ রান। তাদের এই জুটিতেই ভারত চাপমুক্ত হয়ে উল্টো ইনিংস ঘোষণা করার মতো অবস্থানে চলে আসে।
সবমিলিয়ে ২৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়েছে ভারত। শামি হাফসেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। তার সঙ্গে ৩৪ রানে মাঠ ছাড়েন আরেক লোয়ার অর্ডার বুমরাহ।
অর্থাৎ লর্ডস টেস্টে জিততে হলে ২৭২ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। দিনের খেলা আছে ৬০ ওভারের মতো। ওভারপ্রতি সাড়ে চার করে নিতে পারলে ম্যাচটা জেতা সম্ভব ইংলিশদের, টেস্টে যেটা বেশ কঠিন কাজ।
তাই ভারতের হারের সম্ভাবনা এই টেস্টে নেই বললেই চলে। সম্ভাব্য ফল, ড্র অথবা ইংল্যান্ডের হার। মানে কিনা শামি-বুমরাহর এক জুটিতেই ম্যাচের চিত্র পুরো গেছে পাল্টে ।